তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদ সদস‍্যের বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট , চাঞ্চল‍্য

26th March 2021 3:45 pm বর্ধমান
তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদ সদস‍্যের বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট , চাঞ্চল‍্য


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস‍্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নুরুল হাসান এর বিস্ফোরক পোস্ট ফেসবুকে ! দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব ।  কি লিখেছেন নুরুল হাসান 👇👇

আমার fb যারা flow করেন যারা প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী যারা দলের দুর্দিনের কর্মী নেতা তারা আমার সম্পর্কে সব জানেন তাই আমি আর নতুন করে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কে, কি আমি করেছি আর লিখলাম না।
লেখাটা পড়ার পর শুধু এটুকু বলবেন আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিলে‌‌ আমাকে গদ্দার বলবেন না মির্জাফর বলবেন ..

১. পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেবার নাম করে ব্লক সভাপতি কতজনের কাছ থেকে যে ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে আর দাবি করেছে তার ইয়াত্তা নাই,প্রমান সহ সব জেলা সভাপতি থেকে রাজ্য নেতা কে দেওয়া হলো কিছুই হলো না, উল্টে প্রমোশন হলো,এটা আমি করলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বহিস্কার করতো, গোলাম জার্জীস বহিস্কার হয় এরা হয় না,নাম টা গোলাম জার্জীস যে।

২.দলের নির্দেশে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম, নমিনেশন পত্র দাখিল করার শেষ দিনের আগের দিন রাত ২ টায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আমাদের বাড়িতে হামলা,সে দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না, ছিলাম বর্ধমান ভবনে, শুনলাম এখানেও পুলিশ আস্তে পারে,অত রাতে এখান‌ থেকে কি করে বেরোবো সব গেট বন্ধ, কোথায় যাবো আমি,ঐ রাতে কাকে ফোনে পাবো আমি, ভাবতে ভাবতেই একজন শুভানুধ্যায়ী কে ফোন করলাম, ফোনে পেয়েও গেলাম,শুনেই বললো এখনি চলে আয় আমি দাঁড়াচ্ছি,ঐ গভীর রাতেই কোন রকমে বর্ধমান ভবনের রেলিং টপকে পাশেই ওনার বাড়ি ছিল চুপি চুপি ঢুকে পড়লাম।
আমার মা,ভাই কাঁদতে কাঁদতে ফোন করছে আমাকে, আমি জানি না আমার অপরাধ কি,কি অপরাধে আমাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে,পরে জানলাম এক নেতার কথায় আমাকে আটকে রাখতে বলা হয়েছিল যাতে আমি নমিনেশন করতে না পারি, তার ইচ্ছা ছিল আমাকে দাঁড়াতে না দেওয়া তার ইচ্ছামত একজন কে প্রার্থী করা, সেই নেতা জানতো না আমি আগেই নমিনেশন করে ফেলেছি। সে দিন মা বলেছিল তোর দলের নেতারাই যদি এইরকম ব্যবহার করে তুই কেনো এই দল করছিস ছেড়ে দে রাজনীতি, তবুও ছাড়িনি..

৩.আমাকে মার্ডার কেসে ১ নং আসামি করা হলো,জেলা নেতা থেকে রাজ্য নেতার দরজায় দরজায় ঘুরেছি, জেলা নেতাতো ঘরে থেকেও‌ বলেছে নাই আর রাজ্য নেতার কথা আর বললাম না।
৪.জেলা পরিষদ জিতে প্রথম বার সদস্য হয়ছি তখন,কাজ‌ শুরু করেছি তখন, হঠাৎ  বিকালে তদানীন্তন SP সাহেবের ফোন নুরুল কোথায় আছো, বললাম sir জেলা পরিষদে আছি, বললো দেখা করো তুমি, কোথায় দেখা করবো,বললো আধ ঘন্টার মধ্যে ‌তুমি বাইপাসে চলে এসো আমি কলকাতা থেকে ফিরছি ওখানেই কথা বলবো আমি কথা মতো পুলিশ লাইনে গিয়ে ফোন করলাম sir পুলিশ লাইনের কাছে আছি এখানে থাকবো না বাইপাস যাবো,বললো, না‌ ওখানেই থাকো, কিছুক্ষণ পড়েই এলেন,বললো CM তোমাকে গ্রেপ্তার করতে বলেছে, বললাম কি অপরাধ আমার, CM এর কাছে ‌কেও অভিযোগ করেছে তুমি টাকা তুলে দোতলা বাড়ি করছো, আমি অবাক হয়ে গেলাম।
বললাম আমাদের পাড়ায় দুটি মাত্র দোতলা বাড়ি ছিল (এখন‌ অনেক) একটি আমার বাবার আর একটা অদুত দা র। আমি জন্ম থেকেই দোতলা বাড়িতে থাকি, তদন্ত করুন। আমার কথা‌ শুনে গ্রেপ্তার না করে বললো ঠিক আছে যাও আমি তদন্ত করে রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত তুমি জেলা পরিষদ ঢুকবে না। আমি দেখলাম আমি তো কোনো অপরাধ করিনি জেলা পরিষদ কেনো ঢুকবো না, একদিন পর আমি জেলা পরিষদ গেলাম দেখলাম সভাধিপতি সহ আমার দলের লোকরা আমাকে এড়িয়ে চলছে,কথা বলতে চাইছে না।
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
তদন্ত করে দেখলো‌ সব মিথ্যা।

৫. CPIM এর আমলে যত না কেস খেয়েছি,অত্যাচারিত হয়েছি তার থেকে বেশি খেয়েছি আমাদের আমলে এবং অধিকাংশয় মিথ্যা।কেস গুলোর নং আর দিলাম না কারন‌ জায়গা ধরবে না।

৬.এই দলটার জন্য ঘাম দিয়েছি,রক্ত দিয়েছি,অর্থ দিয়েছি চোখের সামনে দেখছি যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে দলটা কে নিয়ে ব্যাবসা করছে আর যে প্রার্থী হয়েছে তার কথা লিখলাম না,যদি লিখি তাহলে সে আর বিধানসভায় যেতে পারবে না।

৭. বর্ধমান ১ ব্লক MSDP ব্লক ৩০% মুসলিমদের বাস অথচ কমিটি করছে এই ব্লকে একজন ও মুসলিম নেই,যারা নিজের বুথে জিততে পারেনা তাদের কে রাখা হচ্ছে কমিটিতে।

৮.সব জেলা পরিষদ সদস্যদের রাখা হলো‌ কমিটিতে অথচ আমি বাদ, কারন কি.... (তবে কমিটিতে রাখলো আর না রাখলো আমার কিছু যাই আসে না)
কারন টা বলবো, বললে মুখ দেখাতে পারবে না মালিক....

৯.হঠাৎ বনমালী দার (বনমালী হাজরা) ফোন, নুরুল কোথায় আছিস,দাদা আমি আমার পাড়ায় পাটি অফিসে আছি, আমি এখুনি যাচ্ছি তুই থাকিস একটু।
বনমালী দা‌ এলো, বললো‌ আমাকে পার্থ দা (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) তোর সঙ্গে কথা বলে সঠিক কি জানাতে বলেছে, হ্যাঁ বলুন দাদা,তুই জোড় করে একজনের জমি দখল করে নিয়েছিস, আমি আকাশ থেকে পড়লাম, বললাম কার জমি নাম বললো,ডেকে পাঠালাম দেখলাম ঐ জমি আদালতের বিচারাধীন,যার জমি ফাঁকায় পড়ে আছে,যে অভিযোগ করেছে যার জমি তার সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ সে আমার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় যাই আমার সঙ্গে থাকে,আর আমার সঙ্গে থাকে বলে আসল কারন না বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বনমালী দাও দেখলো মিথ্যা অভিযোগে।
ঐ জমির জন্য বর্ধমানে যে পুলিশ সুপার এসেছে আর বর্ধমান থানার যে‌ ic এসেছে আমাকে ডেকেছে‌। আর প্রমান দিয়েছি মিথ্যা অভিযোগে আর তাঁরা ও দেখেছে হ্যাঁ সত্যিই মিথ্যা।
দলের নেতাদের কি বলবো বলুনতো......
          ক্রমশ......
                                                  নুরুল হাসান
                                                       সদস্য
                                     পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।