নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য তথা প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নুরুল হাসান এর বিস্ফোরক পোস্ট ফেসবুকে ! দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব । কি লিখেছেন নুরুল হাসান 👇👇
আমার fb যারা flow করেন যারা প্রকৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী যারা দলের দুর্দিনের কর্মী নেতা তারা আমার সম্পর্কে সব জানেন তাই আমি আর নতুন করে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কে, কি আমি করেছি আর লিখলাম না।
লেখাটা পড়ার পর শুধু এটুকু বলবেন আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিলে আমাকে গদ্দার বলবেন না মির্জাফর বলবেন ..
১. পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেবার নাম করে ব্লক সভাপতি কতজনের কাছ থেকে যে ৪ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে আর দাবি করেছে তার ইয়াত্তা নাই,প্রমান সহ সব জেলা সভাপতি থেকে রাজ্য নেতা কে দেওয়া হলো কিছুই হলো না, উল্টে প্রমোশন হলো,এটা আমি করলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে বহিস্কার করতো, গোলাম জার্জীস বহিস্কার হয় এরা হয় না,নাম টা গোলাম জার্জীস যে।
২.দলের নির্দেশে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম, নমিনেশন পত্র দাখিল করার শেষ দিনের আগের দিন রাত ২ টায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আমাদের বাড়িতে হামলা,সে দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না, ছিলাম বর্ধমান ভবনে, শুনলাম এখানেও পুলিশ আস্তে পারে,অত রাতে এখান থেকে কি করে বেরোবো সব গেট বন্ধ, কোথায় যাবো আমি,ঐ রাতে কাকে ফোনে পাবো আমি, ভাবতে ভাবতেই একজন শুভানুধ্যায়ী কে ফোন করলাম, ফোনে পেয়েও গেলাম,শুনেই বললো এখনি চলে আয় আমি দাঁড়াচ্ছি,ঐ গভীর রাতেই কোন রকমে বর্ধমান ভবনের রেলিং টপকে পাশেই ওনার বাড়ি ছিল চুপি চুপি ঢুকে পড়লাম।
আমার মা,ভাই কাঁদতে কাঁদতে ফোন করছে আমাকে, আমি জানি না আমার অপরাধ কি,কি অপরাধে আমাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে,পরে জানলাম এক নেতার কথায় আমাকে আটকে রাখতে বলা হয়েছিল যাতে আমি নমিনেশন করতে না পারি, তার ইচ্ছা ছিল আমাকে দাঁড়াতে না দেওয়া তার ইচ্ছামত একজন কে প্রার্থী করা, সেই নেতা জানতো না আমি আগেই নমিনেশন করে ফেলেছি। সে দিন মা বলেছিল তোর দলের নেতারাই যদি এইরকম ব্যবহার করে তুই কেনো এই দল করছিস ছেড়ে দে রাজনীতি, তবুও ছাড়িনি..
৩.আমাকে মার্ডার কেসে ১ নং আসামি করা হলো,জেলা নেতা থেকে রাজ্য নেতার দরজায় দরজায় ঘুরেছি, জেলা নেতাতো ঘরে থেকেও বলেছে নাই আর রাজ্য নেতার কথা আর বললাম না।
৪.জেলা পরিষদ জিতে প্রথম বার সদস্য হয়ছি তখন,কাজ শুরু করেছি তখন, হঠাৎ বিকালে তদানীন্তন SP সাহেবের ফোন নুরুল কোথায় আছো, বললাম sir জেলা পরিষদে আছি, বললো দেখা করো তুমি, কোথায় দেখা করবো,বললো আধ ঘন্টার মধ্যে তুমি বাইপাসে চলে এসো আমি কলকাতা থেকে ফিরছি ওখানেই কথা বলবো আমি কথা মতো পুলিশ লাইনে গিয়ে ফোন করলাম sir পুলিশ লাইনের কাছে আছি এখানে থাকবো না বাইপাস যাবো,বললো, না ওখানেই থাকো, কিছুক্ষণ পড়েই এলেন,বললো CM তোমাকে গ্রেপ্তার করতে বলেছে, বললাম কি অপরাধ আমার, CM এর কাছে কেও অভিযোগ করেছে তুমি টাকা তুলে দোতলা বাড়ি করছো, আমি অবাক হয়ে গেলাম।
বললাম আমাদের পাড়ায় দুটি মাত্র দোতলা বাড়ি ছিল (এখন অনেক) একটি আমার বাবার আর একটা অদুত দা র। আমি জন্ম থেকেই দোতলা বাড়িতে থাকি, তদন্ত করুন। আমার কথা শুনে গ্রেপ্তার না করে বললো ঠিক আছে যাও আমি তদন্ত করে রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত তুমি জেলা পরিষদ ঢুকবে না। আমি দেখলাম আমি তো কোনো অপরাধ করিনি জেলা পরিষদ কেনো ঢুকবো না, একদিন পর আমি জেলা পরিষদ গেলাম দেখলাম সভাধিপতি সহ আমার দলের লোকরা আমাকে এড়িয়ে চলছে,কথা বলতে চাইছে না।
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।
তদন্ত করে দেখলো সব মিথ্যা।
৫. CPIM এর আমলে যত না কেস খেয়েছি,অত্যাচারিত হয়েছি তার থেকে বেশি খেয়েছি আমাদের আমলে এবং অধিকাংশয় মিথ্যা।কেস গুলোর নং আর দিলাম না কারন জায়গা ধরবে না।
৬.এই দলটার জন্য ঘাম দিয়েছি,রক্ত দিয়েছি,অর্থ দিয়েছি চোখের সামনে দেখছি যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে দলটা কে নিয়ে ব্যাবসা করছে আর যে প্রার্থী হয়েছে তার কথা লিখলাম না,যদি লিখি তাহলে সে আর বিধানসভায় যেতে পারবে না।
৭. বর্ধমান ১ ব্লক MSDP ব্লক ৩০% মুসলিমদের বাস অথচ কমিটি করছে এই ব্লকে একজন ও মুসলিম নেই,যারা নিজের বুথে জিততে পারেনা তাদের কে রাখা হচ্ছে কমিটিতে।
৮.সব জেলা পরিষদ সদস্যদের রাখা হলো কমিটিতে অথচ আমি বাদ, কারন কি.... (তবে কমিটিতে রাখলো আর না রাখলো আমার কিছু যাই আসে না)
কারন টা বলবো, বললে মুখ দেখাতে পারবে না মালিক....
৯.হঠাৎ বনমালী দার (বনমালী হাজরা) ফোন, নুরুল কোথায় আছিস,দাদা আমি আমার পাড়ায় পাটি অফিসে আছি, আমি এখুনি যাচ্ছি তুই থাকিস একটু।
বনমালী দা এলো, বললো আমাকে পার্থ দা (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) তোর সঙ্গে কথা বলে সঠিক কি জানাতে বলেছে, হ্যাঁ বলুন দাদা,তুই জোড় করে একজনের জমি দখল করে নিয়েছিস, আমি আকাশ থেকে পড়লাম, বললাম কার জমি নাম বললো,ডেকে পাঠালাম দেখলাম ঐ জমি আদালতের বিচারাধীন,যার জমি ফাঁকায় পড়ে আছে,যে অভিযোগ করেছে যার জমি তার সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ সে আমার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় যাই আমার সঙ্গে থাকে,আর আমার সঙ্গে থাকে বলে আসল কারন না বলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বনমালী দাও দেখলো মিথ্যা অভিযোগে।
ঐ জমির জন্য বর্ধমানে যে পুলিশ সুপার এসেছে আর বর্ধমান থানার যে ic এসেছে আমাকে ডেকেছে। আর প্রমান দিয়েছি মিথ্যা অভিযোগে আর তাঁরা ও দেখেছে হ্যাঁ সত্যিই মিথ্যা।
দলের নেতাদের কি বলবো বলুনতো......
ক্রমশ......
নুরুল হাসান
সদস্য
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ